shartnewsbd@gmail.com সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
১ পৌষ ১৪৩২

জাতীয় বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপ

১০ হাজার টাকা নিবন্ধন ফি নিয়ে অসন্তোষ বাস্কেটবল অঙ্গণে!

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ০৩ আগষ্ট ২০২৫ ২০:০৮ পিএম

‘আগে তো আমরা জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে কোন ফি’ই নিতাম না। নিলেও তার পরিমান ছিল মাত্র এক হাজার টাকা। ১০ হাজার টাকা আমাদের জন্য অনেক বোঝা হয়ে গেল।’


১০ হাজার টাকা নিবন্ধন ফি নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বাস্কেটবলে। আগামী ২৪-৩১ অক্টোবর জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রত্যেকটি দলের জন্য ১০ হাজার টাকা করে নিবন্ধন ফি ধার্য্য করেছে ফেডারেশন। অসন্তোষ মূলত এই নিবন্ধন ফি নিয়েই। এ বিষয়ে বাস্কেটবল ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক মেজর (অব.) আতিকুল হাফিজের কথা, ‘খরচ বেশি, তাই নিবন্ধন ফি ১০ হাজার টাকা ধার্য্য করা হয়েছে।’
জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য অন্য ফেডারেশনগুলো কত নেয়? যেমন ভলিবল দুই হাজার টাকা করে নিবন্ধন ফি নেয়। কাবাডি পুরুষ ও মেয়েদের দুই বিভাগে নেয় এক হাজার টাকা করে। অন্য ক্রীড়া ফেডারেশনেও হার একই। বাস্কেটবল আগে এক হাজার টাকা করে নিবন্ধন ফি নিত। কিন্তু এবার তার দশগুন। এ নিয়ে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে জেলাগুলোতে।

এ নিয়ে রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব ও জেলা ক্রীড়া অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেনের কথা, ‘আমাদের জন্য এই নিবন্ধন ফি অনেক বেশি। যেখানে ভলিবলে দুই হাজার এবং কাবাডিতে এক হাজার টাকা করে নিবন্ধন ফি দিয়েছি। ইতোমধ্যে আমি বাস্কেবটল ফেডারেশনে এ বিষয়ে দ্বিমত পোষন করে ফেডারেশনে চিঠি দিয়েছি।’ তিনি যোগ করেন, ‘হয়তো আমাদের রাজশাহী ও চট্টগ্রামের জন্য এই অর্থ দেওয়াটা খুব একটা কঠিন নয়। কিন্তু অন্যদের কি অবস্থা হবে?’

 


পাবনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব ও জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘আসলেই এই নিবন্ধন ফি আমাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে গেছে। ফি না কমালে অনেক জেলাই হয়তো খেলতে পারবে না।’ ফেডারেশনের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও গাজীপুর জেলার কোচ রঞ্জিত চন্দ্র দাসের কথা, ‘আগে তো আমরা জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে কোন ফি’ই নিতাম না। নিলেও তার পরিমান ছিল মাত্র এক হাজার টাকা। ১০ হাজার টাকা আমাদের জন্য অনেক বোঝা হয়ে গেল।’

 

সাধারন সম্পাদক মেজর (অব.) আতিকুল হাফিজের ব্যাখ্যা, ‘এখন অনেক খরচা বেড়েছে। কোর্ট ভাড়া, রেফারিদের খরচ, বলের দাম বৃদ্ধি এবং অধিক প্রাইজমানি- এ কারণেই নিবন্ধন ফি বেশি নিচ্ছি আমরা।’ তিনি যোগ করেন, ‘প্রথম বিভাগ লিগে আমরা চ্যাম্পিয়নদের এক লাখ টাকা প্রাইজমানি দিয়েছি। ঠিকমতো তহবিল হৃদ্ধ না হলে খেলা চালানো সম্ভব নয়। তাছাড়া বৃষ্টির মৌসুম এড়িয়ে অক্টোবরে খেলা নিয়ে যেতে হয়েছে। কারন চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, যশোর ও রাজশাহী এই চার জেলার উন্মুক্ত মাঠে খেলা হবে তিন গ্রুপে। গ্রুপগুলো হলো- জেলা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ এবং সার্ভিসেস দল। সব কিছু মিলিয়ে খরচ বেশি হবে, তাই নিবন্ধন ফিও বেশি নিচ্ছি আমরা।’

 

ওএফ

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর