shartnewsbd@gmail.com মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
১ পৌষ ১৪৩২

সচিব নয়, নির্বাহী পরিচালক

৫১ বছর পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে দেখা গেল যা

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ১৩ আগষ্ট ২০২৫ ১৭:০৮ পিএম

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উর্ধ্বতন ব্যক্তি ছিলেন সচিব। কিন্তু এখন থেকে ওই পদের নাম নির্বাহী পরিচালক। ৫১ বছর পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে এমন আইন হল


১৯৭৪ সালে প্রণীত ‘ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিল অ্যাক্ট’ রহিত করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তা পূনঃপ্রণয়ন করেছিল ২০১৮ সালে। ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন-২০১৮’ মন্ত্রী পরিষদ ও জাতীয় সংসদ থেকে পাশ হয়ে দীর্ঘ ৪৪ বছর পর নতুন আইন পেয়েছিল দেশের খেলাধুলার অন্যতম এ অভিভাবক সংস্থাটি।


৭ বছর পর ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন’ আবার সংশোধন করা হয়েছে। ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সংশোধন) আইন-২০২৩’-এর খসড়া, সারসংক্ষেপ ও তূলনামুলক বিবরণী যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় হয়ে মন্ত্রীপরিষদ ও জাতীয় সংসদের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল গত বছর। তবে বর্তমান ক্যাবিনেটে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন-২০১৮-এ কিছু সংশোধন যোগ করা হয়েছে।


গত ৪ আগস্ট ক্যাবিনেট বৈঠকে অনুমোদন হওয়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন-২০১৮ এর সবচেয়ে আলোচিত সংশোধন হলো, সচিব পদ বিলুপ্ত করে 'নির্বাহী পরিচালক' করা। যার মাধ্যমে দীর্ঘ ৫১ বছর পর বিলুপ্ত হলো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিবের পদটি। এখন থেকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রধান নির্বাহীর পদ হলো ‘নির্বাহী পরিচালক’।


১৯৭৪ সালের এনএসসি অ্যাক্ট নতুন করে প্রণয়ন করা হয়েছিল ২০১৮ সালে। তার আগে আইনটি সংশোধন হয়েছিল ৫ বার (১৯৭৬, ১৯৭৮, ১৯৯১, ২০০৩ ও ২০১১)। এবার সংশোধিত আইন অনুমোদনের মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সংযোজন-বিয়োজন করা হলো।

 

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সংশোধন) আইনকে যুগপোযোগী করতে বেশ কিছু ধারা সংযোজন-বিয়োজনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে নতুন আইনে বিলুপ্ত করা হয়েছিল ট্রেজারার পদ। এক সময় পরিষদের অর্থ বিষয়ক কার্যক্রমের প্রধান দায়িত্ব ছিল ট্রেজারের; কিন্তু ১৯৯৮ সাল থেকে সরকার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পরিচালক-অর্থ হিসেবে একজন কর্মকর্তা প্রেষণে নিয়োগ দেয়ায় ট্রেজারের কোনো কাজ না থাকায় পদটি বিলুপ্ত করা হয়েছিল। নতুন করে সংশোধনে এ পদটি এখন থাকছে।

 

আগের আইনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার বিধান ছিল। সংশোধিত আইনেও মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করার বিধান রাখা হয়েছে। তবে ভাইস-চেয়ারম্যানের বিধানে নিয়মের বেশ পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে বিধান ছিল দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ব্যতিত অন্য কোনো মন্ত্রী না থাকলে পরিষদের সদস্যদের মধ্য থেকে একজন চেয়ারম্যান কর্তৃক ভাইস-চেয়ারম্যান মনোনীত হবেন।

 

সংশোধিত আইনে একাধিক ভাইস-চেয়ারম্যানের বিধান রাখা হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী সকলেই বিদ্যমান থাকলে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ব্যতীত প্রযোজ্য ক্ষেত্রে দুইজন বা একজন ভাইস-চেয়ারম্যান থাকবেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব পদাধিকারবলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান হবেন। মন্ত্রণালয়ে একাধিক মন্ত্রী না থাকলে সচিব একাই ভাইস-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।

ওএফ

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর