একের পর এক অঘটন টেবিল টেনিসে!
একের পর এক অঘট-অঘটনের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে দেশের টেবিল টেনিস। নতুন অ্যাডহক কমিটি আসার পর থেকেই ঘটছে একের পর এক অঘটন। প্রথমে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলতে যাওয়ার আগে খেলোয়াড়রা বিদ্রোহ করেন। এরপর নেপালে খেলতে গিয়ে ইতিহাসের সেরা ব্যর্থতা নিয়ে দেশে ফেরেন। তারপর ক্যাম্পে বিশৃঙ্খলাজনিত কারণে দুজন খেলোয়াড়কে ট্রায়ালের আগেই বাদ দেওয়া।
গত মাসে নেপালে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকাপ টিটির বাছাই টুর্নামেন্ট। কিন্তু কর্মকর্তারা সিলেকশনের কথা বললে র্যাংকিং অনুযায়ী দল পাঠানোর কথা বলে নেপালে যেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন খেলোয়াড়রা। এতে দল না পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন টিটি কর্তারা। পরে অবশ্য চাপে পড়ে র্যাংকিং অনুযায়ী দল পাঠাতে বাধ্য হন তারা। কিন্তু একরাশ হতাশা নিয়ে নেপাল থেকে দেশে ফেরেন খইখই মারমারা। ছেলে ও মেয়ে দুই বিভাগেই বাংলাদেশ দল পাঁচ দেশের মধ্যে পঞ্চম হয়। ফলে চার দেশ পুরস্কার প্রদান মঞ্চে পদক হাতে দাঁড়ালেও বাংলাদেশই ছিল একমাত্র শূন্য হাতে।
নেপাল থেকে ফেরার পর এসএ গেমসের ক্যাম্পের জন্য ট্রায়াল শুরু হয়। কিন্তু সেখানে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। সিলেকশন ট্রায়াল শুরুর আগেই শৃঙ্খলাজনিত কারণে জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা দুই টিটি খেলোয়াড় বাদ পড়েন। একজন নারী ও একজন পুরুষ খেলোয়াড় জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকলেও সিলেকশন ট্রায়ালে অংশ নিতে পারেননি। এছাড়াও একজন নারী খেলোয়াড়ের উপর পুরুষ খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে হাত তোলার অভিযোগও ওঠে।
এ প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আহমেদ সনেট বলেন, ‘শৃঙ্খলাজনিত কারণে তারা এই সিলেকশন খেলতে পারছে না। একজন বিকেএসপির শিক্ষার্থী তাকে বিকেএসপিতে পাঠানো হয়েছে, আরেকজন বিকেএসপির সাবেক শিক্ষার্থী। সে অন্যত্র গেছে।’
সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ টিটি দল যখন নেপালে ছিল, সেসময়ে ঢাকায় ক্যাম্পে অন্য খেলোয়াড়রা ছিলেন। ওই সময় একটি অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়। কয়েক বছর ধরে টেবিল টেনিস ফেডারেশনেই নারী ও পুরুষ এক জায়গায় ক্যাম্প চলছে। উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা একই ক্যাম্পে থাকা সামাজিকভাবে খানিকটা ঝুঁকিপূর্ণ। যার ফলে ঘটে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা। তবে থাইল্যান্ডের কোচ আসায় ট্রায়ালে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
টিটি অঙ্গণকে অস্থির করার পেছনে অন্য কারো হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাধারন সম্পাদক মাকসুদ আহমেদ সনেট। তিনি বলেন, ‘টেবিল টেনিসকে অস্থিও করে তোলার পেছনে নিশ্চয়ই কারো ইন্ধন রয়েছে। পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছেন।’ এতদিন তো এমন ঘটনা ঘটেনি। এখন কেন ঘটছে। এমন প্রশ্নের উত্তরে সনেটের কথা, ‘আগেও হতো কিন্তু প্রকাশ পেত না। এখন আমরা শক্ত হাতে এসব দমন করছি বলেই মিডিয়াতে আসছে।’
ওএফ

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: